দর্শক–সমর্থকেরাই ফুটবলের আত্মা। গ্যালারিতে ভক্ত–সমর্থকদের তুমুল গর্জনই মাঠের খেলোয়াড়দের উজ্জীবিত করে তোলে। বিশেষ করে ফুটবলের গতিময়তার সঙ্গে দর্শকদের চিৎকার মিলে মাঠে অন্য রকম এক আবহ নিয়ে আসে, যা অপার্থিব।

যে কারণে অনেকে দর্শককে দ্বাদশ খেলোয়াড় বলেও ডেকে থাকে। ২০২৩ সালে সেই দ্বাদশ খেলোয়াড়দের উপস্থিতির দিক থেকে সবচেয়ে বেশি দাপট দেখিয়েছে বার্সেলোনা। তাদের মাঠে ম্যাচপ্রতি গড় উপস্থিতি ছিল ৮৩ হাজার ২৭৩ জন।

কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে সেই বার্সা ২০২৪ সালে সেরা বিশেও জায়গা পায়নি। প্রশ্ন জাগতে পারে, বার্সা কি ভূমিধস গতিতে জনপ্রিয়তা হারিয়েছে? ব্যাপারটা অবশ্য তেমন নয়, বার্সার এই দর্শক হারানোর পেছনে মূলত ভূমিকা রেখেছে তাদের স্টেডিয়াম পরিবর্তন। ২০২৪ সালের পুরো সময়টাতেই বার্সা নিজেদের চেনা মাঠে ক্যাম্প ন্যুতে খেলতে পারেনি।

মাঠটিতে সংস্কারকাজ চলার কারণে বার্সাকে নিজেদের ম্যাচগুলো খেলতে হয়েছে অলিম্পিক লুইস কোম্পানি স্টেডিয়ামে। অর্থাৎ ক্যাম্প ন্যুর প্রায় ১ লাখ আসনের মাঠ থেকে বার্সা স্থানান্তরিত হয় ৫৬ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার মাঠে। ধারণক্ষমতা অর্ধেকে নেমে আসার কারণেই মূলত সেরা বিশের বাইরে গেছে কাতালান ক্লাবটি। তাদের জায়গায় শীর্ষে উঠে এসেছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড।

সিগনাল ইদুনা পার্কের মাঠটি অবশ্য এমনিতেই ভক্ত–সমর্থকদের উল্লাসধ্বনিতে প্রকম্পিত থাকে। গত বছরও তার ব্যতিক্রম ছিল না। মাঠটিতে গড়ে দর্শক উপস্থিতি ছিল ৮১ হাজার ৩১২ জন।

গত মৌসুমে আর কোনো মাঠে এত দর্শকের উপস্থিতি দেখা যায়নি। ডর্টমুন্ডের বুন্দেসলিগা প্রতিদ্বন্দ্বী বায়ার্ন মিউনিখ আছে এই তালিকার দুইয়ে। আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচপ্রতি দর্শকদের গড় উপস্থিতি ছিল ৭৫ হাজার। দলের পারফরম্যান্স যা, তাহলেও দর্শক কিন্তু ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ঠিকই উৎসাহ দিয়ে গেছে। ওল্ড ট্রাফোর্ডে ম্যাচপ্রতি দর্শকদের গড় উপস্থিতি ছিল ৭৩ হাজার ৭০০ জন।