মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের গেট ভেঙেছে। টিকিট না পেয়ে বিক্ষোভ করেছেন দর্শকেরা। আজ দুপুরে এমন হাঙ্গামা দিয়েই শুরু হয়েছে এবারের বিপিএল। তবে এই নেতিবাচকতা পেছনে ফেলে মাঠের ক্রিকেটটা সত্যিকার অর্থেই পেল অসাধারণ শুরু। কাগজ-কলমে এবারের দুর্বলতম দল দুর্বার রাজশাহী ১৯৮ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালের সামনে। কিন্তু তারকাসমৃদ্ধ বরিশাল ১৮.১ ওভারেই সেই লক্ষ্য পেরিয়ে তুলে নিয়েছে ৪ উইকেটের জয়।

রাজশাহীর দুই শ ছুঁই ছুঁই রানের চাপে শুরুতেই খেই হারিয়েছিল বরিশাল। ইনিংসের প্রথম বলে জিশানের অফ স্পিনে এলবিডব্লু নাজমুল হোসেন। তাসকিন আহমেদের বলে এলবিডব্লু হয়ে আরেক ওপেনার ও অধিনায়ক তামিম ইকবাল ফেরেন পরের ওভারে। কাইল মায়ার্স, মুশফিকুর রহিম, তাওহিদ হৃদয়—বিপর্যয়ে বাধ দিতে পারছিলেন না কেউই। পাহাড়সম লক্ষ্যের সামনে ৬১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে নিশ্চিত হারের দিকেই যাচ্ছিল ফরচুন বরিশাল। কিন্তু তখনই বাধার দেওয়াল তুলে দাঁড়ালেন মাহমুদউল্লাহ।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দারুণ ফর্মে আছেন জাতীয় দলের এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। সেই ফর্মটাকেই যেন টেনে আনলেন বিপিএলে। ৪ ছক্কা আর ৫ বাউন্ডারিতে ২৬ বলে অপরাজিত ৫৬। ২১৫.৩৮ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসে মাহমুদউল্লাহ সময়োপযোগী সঙ্গত পেয়েছেন দুই পাকিস্তানি শাহিন শাহ আফ্রিদি আর ফাহিম আশরাফের কাছ থেকে। ষষ্ঠ উইকেটে আফ্রিদির সঙ্গে মাত্র ৪.১ ওভারে ৫১ রানের জুটি, যাতে আফ্রিদির অবদান ১৭ বলে ২৭।

৩৫ বলে ৮৮ রান এসেছে ফাহিম আশরাফ ও মাহমুদউল্লাহর জুটিতেপ্রথম আলো

রাজশাহীর বড় লক্ষ্যের সামনেও তখন থেকেই ম্যাচটা আস্তে আস্তে বরিশালের দিকে ঘুরতে থাকে। ফাহিম আশরাফ এসে তো কাজটা সহজ করে দেন আরও। একদিকে মাহমুদউল্লাহ, আরেক দিকে ফাহিম আশরাফের ঝোড়ো ব্যাটিং। তাতে আর ৫ ওভার ৫ বলেই ম্যাচ শেষ।

৭ ছক্কা আর এক বাউন্ডারিতে মাত্র ২১ বলে অপরাজিত ৫৪ করা ফাহিম ম্যাচ শেষ করেছেন মৃত্যুঞ্জয়কে গ্যালারি ছাড়া করা বিশাল ছক্কায়। বল গিয়ে পড়েছে গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডের ছাদে। শেষ ৫ ওভারে বরিশালের দরকার ছিল ৫৮ রান। মাহমুদউল্লাহ-ফাহিম মিলে এমনই তাণ্ডব চালালেন যে, জয় এসে গেল ১১ বল বাকি থাকতেই। রাজশাহীর লঙ্কান পেসার লাহিরু সামারাকুনের করা ১৭তম ওভারেই এসেছে ২৫ রান। তিন ছক্কা আর এক চারে যার ২৪-ই ফাহিমের ব্যাট থেকে।