গেস্টরুম থেকে ক্যানটিন, কেটেছে আতঙ্ক; বদলে গেছে ডাইনিংয়ের খাবারের স্বাদ। তিন মাস আগেও চিত্রটা এমন ছিল না। র‍্যাগিং, ছাত্রলীগ নেতাদের দাপট, হলের সিট দখল, চাঁদাবাজি, রাজনৈতিক হিংস্রতা ছিল সাধারণ চিত্র। ৫ আগস্টের পর থেকেই ধীরে ধীরে কমে যায় ছাত্রসংগঠনগুলোর দাপট। ঢাকা থেকে রাজশাহী, চট্টগ্রাম কিংবা ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরিবেশেও আসতে থাকে পরিবর্তন।আবাসিক হলগুলোর আসন বণ্টনেও এসেছে বড় পরিবর্তন। প্রায় সব ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ এখন অনেকটাই স্বাভাবিক। হলের সিট বরাদ্দ ও ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ায় এসেছে স্বচ্ছতা। ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গেস্টরুম’ ছিল নবীন শিক্ষার্থীদের জন্য এক আতঙ্কের নাম। সেই সংস্কৃতিতেও পরিবর্তন এসেছে ।

প্রাণবন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের আড্ডা
প্রাণবন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের আড্ডাছবি: শহীদুল ইসলাম

প্রতিটি ক্যাম্পাসের ডাইনিংয়ের গল্প যেন নতুন করে লেখা হয়েছে। খাবারের মান নিয়ে শিক্ষার্থীরাই এখন নিয়মিত মতামত জানাতে পারেন। কিছু ক্যাম্পাসে চালু হয়েছে ক্যাটারিং সার্ভিস, যেখানে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই নেন বাজারের দায়িত্ব।

খাবারের মান বেড়েছে ক্যাম্পাসের ডাইনিংয়ে
খাবারের মান বেড়েছে ক্যাম্পাসের ডাইনিংয়েছবি: তানিউল করিম

ফলে ক্যাম্পাসের হলের খাবারে বৈচিত্র্য এবং মানেও এসেছে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন।বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী মুয়াজ বিন জাহিদ বলেন, জুলাই বিপ্লবের পর সারা দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। শিক্ষার্থীদের চাওয়া, ভয়ের সেই সংস্কৃতি আর ফিরে না আসুক।